আমার মতে ৯০% ছেলে-মেয়ে এসব এক্সামগুলোতে ইংলিশে সবচেয়ে বেশী ভোগে । এর প্রধান কারন আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা । ছোটবেলা থেকে আমরা খুব গদবাধা কিছু জিনিস মুখস্ত করে পাশ করে যাই ।
আর সারাজীবন ইংরেজী সাবজেক্টটা বাদে পুরো লেখাপড়াটা হয় বাংলাতে । বাট পোস্ট গ্রাজুয়েশন লেভেলের যাবতীয় এক্সামের প্রশ্ন ইংলিশে হয় ।
ফলে সবাই চোখে-মুখে সরিষা ফুল দেখে । এখানে অনেকে বলতে পারেন অনার্সের চার বছর তো ম্যাক্সিমাম জায়গায় ইংলিশে লেখাপড়া হয় তারপরও প্রব্লেম কোথায় ?
প্রবলেমটা হল কম্পিটিটিভ এক্সামগুলোর ইংলিশগুলোর সাথে অভ্যস্ত হতে হলে আপনার ১টা ন্যাচারাল এফিসিয়েন্সি ডেভেলোপ করতে হবে ।
সিম্পল এক্সাম্পল দেই, parallel এর opposite কি ? unparalleled, এটা অনেকেই জানেন । খুব কম সংখকই imparalleled বলবে ।
আরো শুনুন mortal এর বিপরীত immortal এটা কেউ unmortal বলবে না ।
এবার একটু uncommon word এ যাই competent এর opposite কি ? এটা হয়ত কিছু মানুষের প্রবলেম হতে পারে । উত্তর হবে incompetent ।
এখানে আমার পয়েন্ট হল । এসব আসলে মুখস্ত করার জিনিস না । এগুলো শুনতে শুনতে প্র্যাক্টিস করতে করতে এমনি আপনার মাঝে চলে আসা উচিত ।
সো যে যত বেশী শুনবেন , বলবেন, পড়বেন , লিখবেন তার এফিসিয়েন্সী তত বেশী বিল্ড আপ করবে ।
এখন আসেন এই ন্যাচারাল এফিসিয়েন্সী বিল্ড আপ করার জন্য আপনাকে কি করতে হবে ?
আমার উপরের লাইন যদি কেয়ারফুলি খেয়াল করে থাকেন তাহলে দেখবেন, আমি সিকোয়েন্সটা দিয়েছি শোনা, বলা, পড়া, লেখা । এটা র্যান্ডমলি পিক করা কোন সিকোয়েন্স না ।
সায়েন্টিস্টরা গবেষণা করে বের করেছেন যে কোন ভাষা শেখার সবচেয়ে ইফেক্টিভ ওয়ে হচ্ছে listening, speaking, reading, writing ।
কখনও খেয়াল করেছেন যে, আপনার গ্রাম থেকেই হয়ত একেবারে স্বল্পশিক্ষিত কেউ USA বা UK তে গেল এবং এক বছর পর ফেরার পর সে মোটামুটি ফ্লুয়েন্টলি ইংলিশে কথা বলছে ।
এর কারন হচ্ছে যে এমন ১টা এনভায়রনমেন্টে ছিল যেখানে সে ইংলিশ শুনেছে , বলেছে, পড়েছে এবং লিখেছে । অথচ আমাদের দেশে ঠিক উল্টটা করা হয় ।
আগে writing then reading কেউ মুভি-টুভি দেখলে হয়ত টুকটাক ইংলিশ শোনা হয় আর বলা তো কোনদিনও হয় না । ফলে আমরা কেবল ইংলিশ মুখস্ত করে যাই । প্রয়োগ আর করতে পারি না ।
আমার নাতিদীর্ঘ লেখার সামারি হচ্ছে, IBA সহ অন্যান্য Competitive exam গুলোতে ভালো করতে হলে listening and speaking habit অনেক বাড়াতে হবে ।
প্রচুর বই পড়তে হবে এবং লিখতে হবে । ১টা গ্রামার বই ধরে ধরে মুখস্ত করার চেয়ে ৩০০ পেজের ১টা ভালো নভেল পড়লে অনেক বেশী কার্যকরী হবে ।
আপনি যত জায়গায় কোচিং করেন না কেন, ইংলিশ শোনা, বলার প্রচুর পরিমান পড়ার অভ্যাস করতে না পারলে কাংখিত বেনেফিট পাবেন না ।
যে যতই বলুক না কেন অমুক কোর্সটা করলে আপনি একবারে ন্যাটিভ স্পিকার হয়ে যাবেন বা ২০০ টাকা দিয়ে ১টা বই কিনে পড়লে Chowdhury & Hussein হয়ে যাবেন, ফ্যাক্টটা হচ্ছে যতক্ষন না আপনি নিজে এফোর্ট দিচ্ছেন ততক্ষণ কোন কিছুই বদলাবে না ।
সো ভাই এসব সস্তা সর্ট-কাট বাদ দিন । আসল রাস্তা ধরুন । বিশ্বাস করুন বিশ্বের সবচেয়ে সহজ ভাষা ইংলিশ । জাস্ট একটু খাটা-খাটনি করুন দেখবেন আপনি ভাষাতাকে ভালবাসতে শুরু করেছেন । 😀
হ্যাপি প্রিপেয়ারিং ! 😀
0 Comments
Leave a comment