রিপোর্ট বাংলা ট্রিবিউনেরঃ
দেশের সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের জোগানদাতা বেসরকারি খাত। অথচ এই খাতের অবস্থা গেল কয়েক বছর ধরেই ভাল যাচ্ছে না। বিনিয়োগ পরিবেশ ভাল না থাকার কারণে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না, বরং অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এর ফলে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে গত ৩ বছরে সারা দেশের ৬১৮ তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এর বাইরে আরও ৩১৯ কারখানা বন্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তিনি বলেন, এই সব কারখানা বন্ধ না হলে আরও কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারপ্রেস নেটওয়ার্ক, আইপিএনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে,প্রতিবছর প্রায় ২৭ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে আসে। কিন্তু সরকারি বা বেসরকারিভাবে কাজ পায় মাত্র ২ লাখ মানুষ। ফলে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ বেকার থাকছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ-২০১৫ অনুযায়ী, গেল দুই বছরে মাত্র ৬ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। অর্থাৎ বছরে গড়ে মাত্র ৩ লাখ মানুষ চাকরি বা কাজ পেয়েছেন। এর ফলে প্রতি বছর বেকার হচ্ছে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ। সেই হিসাবে দুই বছরে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ৪৮ লাখ।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,প্রতিবছরই উচ্চশিক্ষা নিয়ে শ্রমবাজারে আসা শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক বেকার থাকছেন অথবা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না। বর্তমান চাকরির বাজারে যোগ্যতা ও দক্ষতা খুবই কম। তাদের সনদ অনুযায়ী চাকরি মিলছে না।এ কারণে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।
ইউজিসির তথ্য মতে, জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৭ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমবেশি ২৯ লাখ। এর বাইরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাড়ে তিন লাখের মতো। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ৩৪টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮২ জন। ওই বছর ৭৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছে ৬৫ হাজার ৩৬০ জন। সব মিলিয়ে ২০১৪ সালে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৩০২ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছে। এর বাইরে পাশ করতে পারেনি বা ঝরে গেছে এমন শিক্ষার্থী সংখ্যা আরও বেশি। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা সম্পন্ন করেছে আরও কয়েক লাখ যুবক। কিন্তু এদের মধ্যে চাকরি হয়েছে হাতে গোনা কিছু যুবকের। একইভাবে প্রতি বছরই উচ্চশিক্ষা নিয়ে শ্রমবাজারে আসা শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক বেকার থাকছেন, অথবা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না।
বিস্তারিত পড়ুন এই লিংকে ………………………..http://bit.ly/22knjDt
0 Comments
Leave a comment