আমার ধারণা অনেক Quality লোকজন আছে যারা আরেকটু efficient হলেই সব জায়গায় টিকবে।
এই টিপস গুলা আমার অভিজ্ঞতা থেইকা ঢাইলা দিতেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রাইভেট ব্যাংক, সরকারী ব্যাংক সকল জায়গায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অভিজ্ঞতার আলোকে।
তবে সবার যে এই স্ট্র্যাটেজিতেই আগাতে হবে এমন না। আমি নিজেই জানি আমার থেকে বেশি Efficient অনেকেই আছেন।
প্রশ্ন পাওয়ার সাথে সাথে আগে দেখবেন কয়টা প্রশ্ন আছে আর অংক কয়টা আছে। পরীক্ষা হলে গেমপ্ল্যানের জন্য এটা খুবই দরকার।
প্রথমেই পেছনের পাতায় গিয়ে দেখবেন কয়টা mcq?
১০০ টা থাকলে অংক থাকার কথা ৩০ টা। এখন আপনি যদি অংক দিয়ে শুরু করেন সেটা করতে পারেন তবে তাতে সমস্যাটা বলি।
তখন দেখা যাবে শুরুর জড়তা কাটাতে একটু সময় লাগতেছে।
হয়ত প্রথম ৩ টা অংক পারার পরেই ৪ নম্বরে আটকায় গেলেন সেটার পেছনে সময় দিতে গিয়ে প্রথম ১০ মিনিটে আপনার জমা আছে ৩ নম্বর।
একটু নার্ভাস হয়ে পুরা পরীক্ষা খারাপ হয়ে যাতে পারে। এর থেকে অংক বাদে বাকী যা আছে সেগুলা উত্তর দেয়া শুরু করেন।
কারন সেগুলাতে খুব বেশি চিন্তার অপশন নেই। কিছু কিছু প্রশ্ন আছে ১০-১৫ সেকেন্ডেই হয়ে যাবে।
যেগুলা কনফিউশন থাকবে সেগুলাকেও Guess করে দাগিয়ে নেওয়া ভাল।
কারণ বলি,
BCS এ নেগেটিভ নম্বর অনেক থাকে, তাই সেখানে বেশি ভুল করে ফেললে অনেক মাশুল দিতে হয় .
কিন্তু Bank এর ক্ষেত্রে ৪ টা ভুল আর ১ টা ঠিক আপনি ৫ টা দাগানোর পর ০ পাচ্ছেন.
কোনভাবে ২ টা ঠিক হলেই ১.২৫।
এখন আপনি ৫ টা আন্দাজে বা কনফিউশনে দাগাবেন এবং ৫ টাই ভুল হবে এটার সম্ভাবনা কম।
এটা তখনই হবে যখন আপনার ভাগ্য খুবই খারাপ থাকবে এবং সেই ভাগ্য নিয়ে এইখানে এমনিতেই হবেনা।
কাজেই সব দাগাবেন। ৬০ মিনিটের পরীক্ষার প্রথম ২০ মিনিটে আপনি ইংরেজি, সাধারন জ্ঞান, বাংলা যত পারেন দাগাবেন।
খুব বেশি হলে হয়ত ৮-১০ টা বাদ দেয়া যেতে পারে সব মিলিয়ে। ঠিক ২১ মিনিটের মাথায় অংক শুরু করবেন।
ততক্ষণে আপনার মধ্যে এই কনফিডেন্স টা আসবে যে আপনি ৬০ নম্বর দাগিয়ে ফেলেছেন ২০ মিনিটে বাকী আছে মাত্র ৪০।
অংক ঠান্ডা মাথায় শুরু করবেন। অংক পড়ার পর ৪ টি উত্তর দেখে অংক করা শুরু করবেন।
এটা করবেন কারন তখন কিছু অপশন দেখবেন কখনোই উত্তর হবেনা সেটা Eliminate করা যাবে।
৩৫ মিনিট অংক করে বাকী ৫ মিনিট হাতে থাকবে একবারে অজানা ১০ টি প্রশ্নের।
সেগুলা আপনি ডান বামে জিজ্ঞেস করেও দিতে পারেন মন থেকেও দিতে পারেন।
আমি দিয়ে আসি।
আমি MCQ সব সময় Full উত্তর দিয়েছি এবং আমার হয়েছে।
১০০ টা দাগায় আপনি যদি ৩০ টাও ভুল করেন তাহলেও আপনি ৬০ এর বেশি পাবেন এবং আপনি টিকবেন এবং চাকরী পাবেন। সাধারনত যে কোন পরীক্ষায় ৬০ safe নম্বর।
ব্যাংকে ঢোকার আগে আমি এ্যড ফার্মে ছিলাম। নানা কাজের মাঝে একটা কাজ ছিল, “কে হতে চায় কোটিপতি” এর প্রশ্নপত্র বানানো ও সাজানো।
তখন একটা সাইকোলোজিকাল ব্যাপার খেয়াল করি যে যেই প্রশ্নটা আমি অনেক বুদ্ধি করে করার চেষ্টা করি সেটার উত্তর কখনো A অপশনে রাখিনা।
পরীক্ষায় ক্ষেত্রেও এই স্ট্র্যাটেজি আমার মাঝে মাঝে কাজে লেগেছে। একটু কঠিন প্রশ্ন গুলার উত্তর আমি দেখি A তে থাকেনা। তবে এটা মানে এটা না যে কখনোই A তে থাকবে না।
Elimination পদ্ধতি খুব কাজের একটা জিনিস। ব্যাপারটার একটা সহজ উদাহরণ দেই।
- a) Everyone have done it.
- b) Everyone have did it.
- c) Everyone has doing it.
- d) Everyone has done it.
- e) Everyone has did it.
এই প্রশ্নের উত্তর সবাই জানে আমি জানি। আমি বুঝাতে চাচ্ছি একটু জটিল Sentence Correction গুলা কিভাবে Solve করবেন।
আপনি যদি এটা না জানেন যে Everyone এর পর has হয় না have হয় তাহলে ৫ টা অপশনের মধ্যে have বেশি আছে না has আছে এটা দেখবেন।
বেশির ভাগ সময় সঠিকটা অপশনে বেশি থাকে।
আর Everyone এর পর has হবে এটা আপনাদের লেভেলে আপনারা এমনিতেই জানেন।
তাহলে যেটা করবেন have অপশন গুলা পুরা লাইন কলম দিয়ে কেটে দিবেন যাতে সেগুলা আর চিন্তাতেই না আসে।
তারপর নিচের ৩ টা অপশন।
Present Perfect Tense এর Structure আপনার জানা আছে কিন্তু যদি তাও না জানেন, আপনি খেয়াল করবেন Done, Did দুটাই have এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে তার মানে Doing টা বাদ দেয়া যায়।
এখন তাহলে d আর e এর মধ্যে কোন একটা উত্তর হবে।
এইভাবে উত্তর বের করা হচ্ছে elimination পদ্ধতি।
Official Gmat থেকে এটা আমি জেনেছিলাম যে কখনো Sentence Correction এ খুব বড় লাইন দিলে এভাবে আগালে অপশন গুলা কমে যায় আর সঠিক লাইনটা বের করতে সুবিধা হয়।
Happy Preparaing 🙂
0 Comments
Leave a comment