দেশের সবচেয়ে আকর্ষনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ।দেশের অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে এই প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যয়নের সুযোগ পাওয়া।
শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডে এডমিশন পরিচালনা করা আইবিএকে দিয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা।
স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর মাত্র ১২০ জন বিবিএ শিক্ষার্থী এবং মাত্র ১৮০ জন এমবিএ শিক্ষার্থীই কেবল অধ্যয়ন করার সুযোগ পান।
কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানে পড়ে আসলে কি লাভ হবে, বা কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে এমনটা অনেকেই জানতে চান।
এই পোস্টে আমরা সেরকম কিছু কারণই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
দেশের সবচেয়ে দামী কর্পোরেট ব্রান্ড
আইবিএ দেশের সেরা কর্পোরেট ব্রান্ড । খ্যাতনামা কর্পোরেট হাউসগুলোর প্রথম পছন্দ থাকেন আইবিএর শিক্ষার্থীরা । অনেকেই পাশ করার আগেই নামকরা কর্পোরেটগুলোতে জবে ঢুকে যান।
আপনি যেকোন প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট, ব্যাংক, মাল্টী-ন্যাশনালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দিকে তাকালে দেখবেন তাদের এন্ট্রি লেভেল এক্সেকিউটিভ পদে আইবিএ থেকেই একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী জব পাচ্ছেন।
দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যালামনি বেস
দেশের সেরা এল্যামনি বেস আইবিএর । কর্পোরেট হাউসগুলোর দিকে তাকান । রেপুটেড প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি, সিইওদের শতকরা ৮০ ভাগের উপর আইবিএতে পড়াশোনা করেছেন । শুধু তাই না মিড লেভেলে ম্যানেজারদের একটা বড় অংশই আইবিএর।
আইবিএর স্টুডেন্টরা শুধু কর্পোরেটে ভালো করছেন এমন না । সরকারি পর্যায়েও আইবিএর শিক্ষার্থীরা বেশ ভালো করছেন ।
বাংলাদেশের ব্যাংকের বর্তমান অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ম্যাম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকডাঁড় দু জনেই আইবিএর এক্স-শিক্ষার্থী।
দেশের সেরা শিক্ষার্থীদের সাথে লেখাপড়ার সুযোগ
এটাকে আমার আইবিএর সবচেয়ে বড় সুবিধা মনে হয় । আইবিএর সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া অনেক কম্পিটিটিভ এবং ফেয়ার । যার ফলে দেশের সেরা মেধাবীরাই এখানে পড়ার সুযোগ পান । এরা একেকজন একেক দিকে দক্ষ থাকেন ।
কারো কারো ম্যানেজারিয়াল স্কিল অনেক ভালো, কেউ আবার মার্কেটিং এ অনেক ভালো, কেউ ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো বুঝবে আবার কেউ কেউ হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো বুঝবে ।
সো তাদের সংস্পর্শে এসে আপনি সেই স্কিলগুলো শেখার এক চমৎকার সুযোগ পাবেন ।
দেশের সেরা ফ্যাকাল্টিদের লেকচার থেকে শেখার সুযোগ
আইবিএর অধিকাংশ শিক্ষক দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত । ফলে তাদের ক্লাসগুলোতে দেশের জব মার্কেট ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানার এক দারুণ সুযোগ পাবেন ।
এছাড়াও দেশের শীর্ষ পদে কর্মরত সাবেক এবং বর্তমান অনেকেই এখানে ক্লাস নিয়ে থাকেন । উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্স-গভর্নর ফরাস উদ্দিন স্যারের কথা ।
এছাড়াও গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে অনেকেই পাবেন । আমাদের এইচ আর এমের ১টা কোর্সে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে এসেছিলেন সিটি.এন.এর সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর মামুনুর রশিদ স্যার ।
জব লাইফের দরকারি স্কিলগুলো শেখার সুযোগ
আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে ব্যাবহারিক জ্ঞানের চেয়ে থিউরী শেখানোর দিকে বেশী ফোকাস করা হয় । ফলে অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে জব লাইফে গিয়ে সাফার করে । আইবিএ এদিক থেকে ব্যাতিক্রম ।
আপনাকে অনেক ফিল্ড অয়ার্ক করতে হবে, অসংখ্য প্রেজেন্টেশন দিতে হবে । ফলে জাব লাইফের দরকারি স্কিলগুলো ছাত্রজীবনেই শিখতে থাকবেন । জবে ঢুকে তেমন কোন সমস্যা ফেস করবেন না ইনশাআল্লাহ ।
আইবিএর ছেলে-মেয়েরা সরকারি চাকরীতেও এখন ভালো করছে
আইবিএ থেকে পড়ে আগে ম্যাক্সিমাম স্টুডেন্ট কর্পোরেটে জব করতো। গত ৪-৫ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে আইবিএর শিক্ষার্থীরা এখন সরকারি চাকরীতেও অনেক ভালো করছে।
৪০-তম বিসিএসের ফরেন, পুলিশ, এডমিন, ট্যাক্সের মত শীর্ষ ক্যাডারদের ৪০-৫০ জনই আইবিএর। ৪০-তম বিসিএসে যিনি এডমিন থেকে প্রথম হয়েছেন তিনি আইবিএ এমবিএর ৬৩-তম ব্যাচের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস তিলা।
৩৮, ৩৭ বা আগের বিসিএসেও আইবিএ শিক্ষার্থীর আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলাদেশ সহকারী পরিচালকদের একটা বড় অংশ এখন আইবিএ থেকে হচ্ছেন। প্রতি ব্যাচে কমপক্ষে ২০-৩০ জনই আইবিএ থেকে যাচ্ছেন।
অন্যান্য ১ম শ্রেনীর সরকারি চাকরীতেও সেইম।
তাঁর মানে দাঁড়াচ্ছে আইবিএর প্রস্তুতি শুধুমাত্র আপনাকে কর্পোরেট জবের জন্যই ভালোভাবে প্রস্তুত করছে না বরং আইবিএর প্রস্তুতি আপনার ১ম শ্রেনীর সরকারি চাকরীগুলোতেও ভালো করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করছে।
শেষের কথা……………
IBA তে ওরিয়েন্টেশন program এ আমাদের তৎকালীন এমবিএ চেয়ারপার্সন ম্যাম ১ টা কথা বলেছিলেন,
” IBA শুধুমাত্র একটা institute না, এটা একটা লাইফ স্টাইল। আজকে বাসায় গিয়ে নিজেকে ভালোমত দেখে নাও । ২ বছর পরে নিজেকে আজকের তোমার সাথে মিলিয়ে দেখো । আমুল পরিবর্তন দেখতে পাবে নিজের মধ্যে।”
কি এই পরিবর্তন ?
এই পরিবর্তন হল Confidence, Attitude, Smartness এর পরিবর্তন।
হ্যাঁ, আইবিএ আপনার চিন্তাভাবনার ধরন বদলে দেয়। এই সেইম উত্তরটাই আপনি প্রতিটা আইবিএর শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পাবেন।
সো যদি ইচ্ছা থাকে পড়ার তাহলে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাক এখন থেকেই !
কারন এডমিশন টেস্টের আর মাত্র ৪ মাস বাকী !
শুভ কামনা সবার প্রতি ।
————————–
এই মুহুর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক, NSI, বেপজা, পূবালী ব্যাংক, বাখারাবাদ গ্যাস ফিল্ডসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১১০০+ পদের সার্কুলার আছে।
ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংকের ১,০০০+ পদের বেশী সার্কুলার এই মুহুর্তে চলমান আছে।
এছাড়া আইবিএর এডমিশন টেস্টেরও আর খুব বেশী বাকী নেই।
যারা এসকল জব এক্সামগুলোতে বসতে চান এবং সেরা প্রস্তুতি নিতে চান তারা অবশ্যই আইবিএ এডমিশন টেস্ট স্ট্যান্ডার্ডের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করুন।
কারন, বর্তমানে অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৯ম এবং ১০ম গ্রেডের জব এক্সামগুলো আইবিএ পরিচালনা করে থাকে। এগুলোর মধ্যে আছে পেট্রোবাংলা, গ্যাস ফিল্ডস, এনএসআই, দুদক, বেজা, বেপজা, বিসিক সহ প্রায় সকল ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়া দেশের অধিকাংশ প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনী, প্রবেশনারী অফিসার বা অফিসার লেভেলের এক্সামগুলো আইবিএ-ই পরিচালনা করে থাকে।
আর এই এক্সামগুলোতে ভালো করতে হলে অবশ্যই আইবিএ স্ট্যান্ডার্ডের প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত।
আর এ লক্ষ্যে দেশে আমরা সম্পুর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে সাজিয়েছি জব প্রিমিয়াম + IBA MBA স্পেশাল কোর্স। এই কোর্সটির লেকচার কনটেন্ট সমসাময়িক জব এক্সামগুলোর প্রশ্নের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী নতুন করে সাজানো । ফলে এ কোর্স থেকে শিক্ষার্থীরা জব এক্সামগুলোর জন্য একটি আদর্শ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন।
এই কোর্সে আপনাদের জন্য থাকছেঃ
📌লাইফ-টাইম স্টুডেন্টশীপ
📌ফ্রি কোর্স বুকস
📌স্টাডিরুম ফ্যাসিলিটি
📌ফ্রি ব্যাসিক ডেভোলাপমেন্ট ক্লাস
📌সেরা ইন্সট্রাক্টর
কোর্সে এডমিশন নেয়ার লিংক
👨🎓আইবিএ এমবিএ + জব প্রিমিয়াম (অফলাইন)
এডমিশন লিঙ্ক:
📱আইবিএ এমবিএ + জব প্রিমিয়াম (অনলাইন)
এডমিশন লিঙ্ক:
👨🎓আইবিএ এমবিএ স্পেশাল ব্যাচ (অফলাইন)এডমিশন লিঙ্ক:
📱আইবিএ এমবিএ স্পেশাল ব্যাচ (অনলাইন)
এডমিশন লিঙ্ক:
📒আইবিএ এমবিএ প্রশ্ন ব্যাংক
https://cutt.ly/26cZ8TL
যেকোন দরকারে কল করুন 016 3031 3031
0 Comments
Leave a comment