“ভাইয়া, আমি তো ১ মাস পড়ে আইবিএতে টিকে গেছি।”
“ভাইয়া, আমার তিন মাস লেগেছে আইবিএতে টিকতে।”
“ভাইয়া, আমার ছয় মাস/এক বছর লেগেছে আইবিএতে চান্স পেতে।”
যারা আইবিএতে চান্স পায়, তাদের অনেকের মুখ থেকে এই কথাগুলো শুনে থাকবেন । একেক জনের জন্য একেক সময় লাগছে ।
তাহলে কি তারা ভুল বলছে ?
আসলে কি একেক জনের জন্য একেক সময় ?
আইবিএর প্রস্তুতির জন্য কি কোন স্ট্যান্ডার্ড সময় নেই ?
টু বি ফ্র্যাঙ্ক, আসলেই নেই । একেক জনের সময় একেক রকম সময়ই লাগবে চান্স পেতে এটাই স্বাভাবিক । এটা নির্ভর করছে কে কিভাবে তার ভার্সিটি লাইফ, স্কুল-কলেজ পার করে এসেছে ।
কিভাবে সে সময়গুলোতে লেখাপড়া করেছে, কার ব্যাসিক কেমন ছিল ।
একটা উদাহরন দেই,
Capstone-এ আমরা তিন ডিরেক্টর । তিনজনই আইবিএর ।
আমার সময় লেগেছে ৫-৬ মাসের মত ।
আরেক ডিরেক্টর আবির ভাইয়ের ৩-৪ মাসের মত ।
৩য় ডিরেক্টর তাজুলের লেগেছে একজেক্টলি ৩৮ দিনের মত, অর্থাৎ, মাত্র এক মাস ৮ দিন !
আমার কেন বেশী সময় লাগলো ?
আমি আমার ভার্সিটি লাইফ পুরাটা ফাঁকিবাজি করে কাটিয়েছি । লেখাপড়ার ধাঁরে-কাছে তেমন একটা ছিলাম না ।
জাস্ট কোনমতে পাশ করে বের হয়েছি । সিজিপিএ ৩ এর নীচে ছিল ।
পাশ করার পর পরই একটা আইটি ফার্মে চাকরী হয়, এরপর সেখান থেকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে জয়েন করি ।
আমি আইবিএতে পড়ার সিদ্ধান্ত নেই, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে আসার পর । সেখান কাজ করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, কর্পোরেট সেক্টরে ভালো করতে হলে এমবিএ করতে হবে ।
আর ভালো জায়গা থেকে এমবিএর জন্য আইবিএর কোন বিকল্প নেই ।
এরপর ৭ মাস পর চাকরী ছেড়ে দেই । আইবিএর প্রস্তুতি নিতে শুরু করি ।
প্রথমবার হয়নি, দ্বিতীয়বারে হয় । ৪৯ ব্যাচে আমি আইবিএতে কোয়ালিফাই করি ।
আমার ৬-৭ বছরের একটা লম্বা স্টাডি গ্যাপ ছিল ।
আর প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম দেরীতে । এজন্য সময় বেশী নিয়েছে ।
আবীর ভাইয়ের আমার চেয়ে কম সময় কেন লাগলো ?
আবীর ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল দেশের বাইরে যাওয়ার । এজন্য পাশ করার পর পরই GRE, TOEFL দিয়ে ফেলে ।
সো তার প্রস্তুতির অনেকটাই সেখান থেকে হয়ে যায় । কারন, আবীর ভাই, GRE পুরোনো ফরম্যাটে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ।
GRE এর পুরোনো ফরম্যাটের সাথে আইবিএর এক্সামের বেশ মিল ছিল । তখন গ্রামার, ভোকাব, পাজল সবকিছুই আসতো GRE-তে ।
আবীর ভাইয়ের GRE স্কোরও বেশ ভাল ছিল । কিন্তু ব্যাক্তিগত কারনে পরবর্তীতে বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা বাদ দিয়ে দেন ।
একটা টেক্সটাইল কোম্পানীতে জয়েন করেন । পাশপাশি আইবিএর প্রস্তুতি নিতে থাকেন ।
ফলে ৩-৪ মাসের মধ্যেই উনার আইবিএর প্রস্তুতি হয়ে যায় ।
এরপর আইবিএতে এক্সাম দেন এবং ৪৬ ব্যাচেই তিনি কোয়ালিফাই করেন ।
সো উনার ৩-৪ মাসের প্রিপারেশনে আইবিএতে হয়ে যাওয়ার মূল কারন ছিল OLD GRE ফরম্যাটে প্রিপারেশন ।
আবীর ভাই আইবিএ থেকে বের হওয়ার পর বর্তমানে মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকের এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন ।
তাজুল কিভাবে ৩৮ দিনে আইবিএতে কোয়ালিফাই করলো ?
তাজুল আর আমি ব্যাচমেট । নটরডেমে একই সাথে ছিলাম ।
তাজুল বুয়েট MME এর ছাত্র ছিল ।
ও ভার্সিটি লাইফ থেকে প্রচুর SSC, HSC, ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র-ছাত্রী পড়িয়েছে । পুরা ভার্সিটি লাইফটা লেখাপড়ার টাচে ছিল ।
আইবিএতে যে টাইপের ম্যাথ, ইংলিশ আসে, সে ধরনের প্রিপারেশন প্রায় ৪ বছর ধরেই সে প্যাসিভলি নিয়ে যাচ্ছিল ।
এছাড়াও আইবিএতে পড়ার ব্যাপারে সে অনার্সে থাকা অবস্থাতেই ভেবেছিল । পাশ করার পর পরই আইবিএতে এক্সাম দিবে বলে স্থির করেছিল ।
সো তার এ ব্যাপারে আগে থেকেই ধারনা ছিল ।
অর্থাৎ, পাশ করার আগে থেকে মেন্টালি প্রিপারেশন নিয়ে রেখেছিল ।
ওদের সময়ে হঠাৎ করেই জুন সেশনের সার্কুলার আসে ।
মোট ৩৮ দিন সময় পেয়েছিল ।
পূর্বের ধারনা আর আগে থেকে টুকটাক প্রিপারেশন মিলিয়ে তার ৩৮ দিনের প্রস্তুতি যথেস্ট হয়ে যায় ।
তাজুলের ৩৮ দিনের গাইডলাইনটি পরতে এখানে ক্লিক করুন
সো আশা করছি, আমাদের ৩ জনের উদাহরন থেকে আপনারা মোটামুটি ধারনা করতে পারছেন যে, আইবিএর প্রস্তুতির জন্য সময়ের পার্থক্যটা আসলে কেন হয় ।
আপনি কিভাবে আপনার ভার্সিটি লাইফের সময়টা কাটাচ্ছেন, কত আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করছেন, ম্যাথ আর ইংলিশের ব্যাসিক কতটুকু ভালো এসব মিলিয়ে প্রস্তুতির সময় ভ্যারি করবে ।
সো কারো এক মাসে প্রস্তুতি হয়ে যাওয়া মানে এই না যে, আমারো এক মাসে হয়ে যাবে ।
আবার কারো এক বছর লাগা মানে এই না যে, আমারো এক বছর লাগবে ।
পুরো সময়টা যার যার ব্যাক্তিগত অবস্থান থেকে নির্ধারিত হতে হবে ।
তাই বলবো যে, এক মাসে, তিন মাস, এক বছর বিভ্রান্তিতে না পড়ে দ্রুত সম্ভব টুকটাক করে প্রস্তুতি শুরু করে দিন ।
দেখবেন অনেকের আগেই ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে গেছেন ইনশা-আল্লাহ ।
হ্যাপি প্রিপেয়ারিং ।
Capstone Education টানা ৭ ইনটেক ধরে আইবিএর এমবিএতে সাফল্যের শীর্ষে । শুধুমাত্র ডিসেম্বর ২০১৯ এক্সামে Capstone থেকে আইবিএতে কোয়ালিফাই করেছে ৬২ জনের মত ।
শিক্ষার্থীদের সেরা প্রস্তুতি নিশ্চিত করার জন্য আমরা শুরু থেকে দিয়ে আসছি লাইফ-টাইম স্টুডেন্টশীপ । অর্থাৎ, আপনি একবার ভর্তি হয়ে যতবার ইচ্ছা কোর্সটি ফ্রি রিপিট করতে পারবেন ।
এছাড়া ব্যাসিককে শক্তিশালী করার জন্য আমরা ফ্রি ব্যাসিক ডেভোলাপমেন্ট ক্লাস দিয়ে থাকি, ফলে আইবিএর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক, জব ও অন্যান্য এক্সামের প্রস্তুতিও হয়ে যাবে ।
ক্লাসের বাইরে সমস্যা সমাধানের জন্য আইবিএর একজন ভাইয়া সার্বক্ষনিকভাবে অফিসে থাকেন ।
এছাড়াও রয়েছে ফ্রি কোর্স বুক ।
এই মুহুর্তে Capstone বিভিন্ন অনলাইন কোর্সে ৫৫% পর্যন্ত ছাড় চলছে ।
এই মুহুর্তে ভর্তি চলছে
এর বাইরেও ফ্রি, টিপস এবং সাজেশনের জন্য আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করতে পারেন ।
https://www.facebook.com/groups/685465674956004/
বিভিন্ন লেসন ও টিপসের ফ্রি ভিডিও দেখতে আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
যেকোন প্রয়োজনে কল করুন 01972-277866
ব্যাচে ভর্তির জন্য রেজিস্ট্রেশন করুন এখান থেকে
0 Comments
Leave a comment