এ ব্যাপারে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করতে দেখি । আমি নিজে আইবিএতে প্রথমবার না টিকে যথেষ্ট ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গিয়েছিলাম ।
পরবর্তীতে নানান সময়ে নান কিছুতে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে এই লেখাটি শেয়ার করছি ।
১। ইংরেজী শোনার অভ্যাস না থাকা
আমাদের দেশের ৯০% ছেলেমেয়ে ইংলিশে ধরা খায় । ম্যাথ এবং অন্যান্য টপিকগুলো আসলে প্র্যাকটিস করলেই আজ হোক কাল হোক ইম্প্রুভ করবেই । বাট ইংলিশের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন এপ্রোচ নেয়া উচিত ।
ইংরেজী শেখার প্রথম স্টেপই হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ইংরেজী শোনা । আমরা তা না করে গ্রামারের দিকে দৌড়াই । ব্যাপারটাকে আরো সিম্পলভাবে চিন্তা করেন ।
আপনি যখন নিজের মাতৃভাষা শিখেছেন তখন কি করেছেন ?
আপনি জাস্ট অন্যদের বলতে শুনেছেন । এটাই হচ্ছে ১টা ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধির প্রথম স্টেপ ।
সো সব কিছু বাদ দিয়ে আগে প্রচুর পরিমাণে ইংরেজী শুনতে থাকুন । জাস্ট এক মাস পর পার্থক্যটা নিজেই ধরতে পারবেন ইনশাআল্লাহ্ ।
২। প্রপার এটিচিউড না থাকা
ধরেন আপনি আইবিএ, বিসিএস অথবা জবসের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছেন । প্রথমে খুব ভালো মত সব কিছু শুরু করলেন । বাট এক মাস পর সব কিছু বোরিং আর বিরক্তিকর লাগতে শুরু করলো ।
কখনও কি ভেবে দেখেছেন এর কারণ কি ?
আপনি আসলে রেসাল্টের দিকে ফোকাস করছেন, প্রসেসের দিকে না । ১৯৯৯ ওয়ার্ল্ড কাপে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিকের প্রায় সবগুলো ম্যাচ হারছিল ।
একটা পর্যায়ে ইকুয়েশনটা এমন দাঁড়ালো যে, ওয়ার্ল্ড কাপ জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে নেক্সট ৭টা ম্যাচই জিতে হবে ।
তখন ক্যাপ্টেন স্টিভ ওয়াহকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেছিলেন, আমরা ৭টা ম্যাচে ভালো করে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং করতে চাই । রেসাল্ট নিয়ে আমরা মোটেও চিন্তিত না ।
এরপর কি হয়েছিল আমরা সবাই জানি ।
কম্পিটিটিভ এক্সামগুলোতে ভালো ফলের জন্য আমাদের ঠিক এই ধরনের এটিচিউড থাকা উচিত ।
আমাদের জাস্ট সাবজেক্টগুলোতে উন্নতি করার দিকে ফোকাস করতে হবে । রেসাল্ট অটোমেটিক চলে আসবে ।
৩। চারপাশের প্রেশারের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারা
আমাদের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ হয়েছে ২০১০ এর দিকে । পাশ করার পর পরই আমাদের অধিকাংশ বন্ধু-বান্ধব হয় জবে না হয় হায়ার স্টাডিজে ঢুকে যায় ।
আমার এক ফ্রেন্ড ছিল, যার লক্ষ্য ছিল ইউএসে থেকে মাস্টার্স করবে । সে প্রায় ৪ বছর এটা নিয়েই পড়েছিল । কোন জব না, দেশে কোন হায়ার স্টাডি না , জাস্ট ১টাই জেদ, ইউএসে থেকে স্কলারশিপে মাস্টার্স করবে ।
শেষ-মেষ সে তার লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছিল । তো যাবার আগে তাকে প্রেশার হ্যান্ডেলিং এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ।
সে বললো, অনেক কথাই শুনেছি আশপাশ থেকে । এক পর্যায়ে অবস্থা এমনও দাঁড়িয়েছিল যে, আমার ৪-৫ বছরের জুনিয়াররা যারা এখনো গ্রাজুয়েশনও শেষ করেনি তারাও আমাকে এডভাইস দিতে লাগলো ।
আমি জাস্ট নিজেকে বলতাম, ১০ বছর পর আমার নিজের পরিনিতির জন্য আমিই দায়ী থাকবো । অন্য কেউ আমার দায়িত্ব নিবে না ।
সো যে যাই বলুক না কেন, আমার যা ভালো লাগে সেটাই আমি করবো ।
এই প্রেশারটার সাথে অনেকেই খাপ খাওয়াতে পারে না । আর ফলে মাঝপথে অনেকেই তার ড্রিম চেজ করা ছেড়ে দেয় ।
৪। নিজের জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা না থাকা
হলিউডের সাবেক সুপার স্টার আর্নল্ড সোয়ারজিনিগারের ১টা ইন্টারভিউ পরেছিলাম । উনি বলেছিলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই ১টা কাজই ভালো লাগতো আর সেটা ছিল বডি বিল্ডিং ।
সো আমি ফুল ডেডিকেশন দিয়ে শুধু এই দিকেই ফোকাস করেছি । কখনও এটা ভাবিনি যে, বডি বিল্ডিং এর ভবিষ্যত কি ? আমার জীবন কিভাবে চলবে ?
আমাদের লক্ষ্য ঠিক হয়, মার্কেট ট্রেন্ডের উপর ভিত্তি করে । বাজারে এখন আইবিএ চলছে, চলেন সবাই আইবিএ করি । বাজারে বিসিএসের ভ্যালু বেড়েছে, সো চলেন সবাই বিসিএস দেই ।
সো সময় নিয়ে ভাবুন আপনি কি চান, কি করতে ভালোবাসেন, কোন কাজ আপনাকে সবচেয়ে বেশী অনন্দ দেয় । তাহলে দেখবেন সে কাজটাকেও আপনি উপভোগ করছেন ।
থ্রি ইডিয়টসের সেই বিখ্যাত ডায়ালগ তো অনেকেরই মনে থাকার কথা ।
সাক্সেস নয়, দক্ষতার দিকে ছোট । সাক্সেস অটোমেটিক্যালি তোমার কাছে চলে আসবে ।
৫। ফোকাসড না থাকা
আপনি এক সাথে একই সময়ে ঢাকা, চিটাগাং, সিলেটে যেতে পারবেন না । বাট কম্পিটিটিভ এক্সামগুলোর প্রিপারেশনের সময় ঠিক এই চেষ্টাটাই করে থাকেন ।
আপনি আগে ঠিক করুন আপনার জন্য প্রায়োরিটি কোন ডেস্টিনেশন । আগে সেই সিটিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন । তারপর ভেবে দেখুন এরপর আপনি কথায় যেতে চান ।
কম্পিটিটিভ এক্সামগুলোর প্রস্তুতির সময়ও আগে সিদ্ধান্ত নিন কোনটি এচিভ করতে চাচ্ছেন । সেটি এচিভ করার পর অন্য টার্গেটে মন দিন ।
মনে রাখবেন, আইবিএ, বিসিএস, জবস কোনটাই মিউচুয়ালী এক্সক্লুসিভ না বরং এরা কমপ্লিমেন্টরী । একটির প্রস্তুতি অন্যটির প্রস্তুতি নিতে উল্টো সাহায্য করবে ।
সো ধৈর্য্য ধরে, সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে আগালে সব কিছুই এচিভ করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ্ ।
IBA (BBA, MBA) এবং JOB প্রিপারেশনের জন্য বর্তমান সময়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ১টি হচ্ছে Capstone Education।
Capstone Education এর প্রায় ৭৫ এর অধিক শিক্ষার্থী আজ IBA DU এর MBA-তে পড়ছে ।
আমাদের আইবিএর স্পেশাল ব্যাচগুলোতে লাইফ-টাইম স্টুডেন্টশীপ ভ্যালিডিটি দেয়া হয় । অর্থাৎ, একবার ভর্তি হলে পরে যতবার ইচ্ছা কোর্সটি ফ্রি রিপিট করতে পারবেন ।
এছাড়াও যাদের ব্যাসিক দুর্বল তাদের জন্য ফ্রি ব্যাসিক ডেভেলপমেন্ট ক্লাসের ব্যাবস্থাও এখানে আছে ।
এই মুহুর্তে আমাদের যেসব কোর্সে ভর্তি চলছেঃ
এখন ভর্তি চলছে আইবিএ এমবিএর ৬১ ইনটেকের জন্য স্পেশাল মক প্রোগ্রামে । পছন্দের টাইম স্লট পেতে দ্রুত ভর্তি ভর্তি কনফার্ম করুন । রেজিস্ট্রেশন লিংক
https://bit.ly/2O7qLnk
আর আইবিএ এমবিএর ৬২ ইনটেক জন্য আর্লি স্পেশাল ব্যাচে ১,০০০ টাকা ডিসকাউন্টে ভর্তি চলছে । এই সুযোগ নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত । রেজিস্ট্রেশন লিংক
https://bit.ly/2iUCY10
0 Comments
Leave a comment