IELTS নিয়ে দেশে কিছু myth রয়েছে। এসব myth মুখে মুখে এ ওর কাছ থেকে ছড়ায়। এসব মিথে কান না দিয়ে পড়াশুনার মাধ্যমে IELTS preparation নেয়ার পরামর্শ দেয়া হল।
Myth#1
বাংলাদেশে সিলেটে ব্রিটিশ কাউন্সিলে পরীক্ষা দিলে বেশি স্কোর উঠে
দেশী মিথের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পপুলার মিথ এটা। প্রতি মাসেই বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিল IELTS পরীক্ষা ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম এই তিন সেন্টারে নেয়। এছাড়া, রাজশাহী এবং খুলনায় প্রতি ২ মাস পর পর IELTS পরীক্ষার আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, দেশী একটা মিথ প্রচলিত যে সিলেটে পরীক্ষা দিলে প্রশ্ন সহজ হয়, ভালো মার্কস দেয়। স্বভাবতই, তাহলে পাঠকদের প্রশ্ন জাগতেই পারে সারা বিশ্ব ব্যাপী ব্রিটিশ কাউন্সিলের অসংখ্য় IELTS সেন্টার আছে, সব গুলির মান কি একই বা স্কোর কি সেন্টার ভেদে ডিফরেন্ট হয়?এটা একটা আন্তরজাতিক পরীক্ষা– MIT, Stanford, Harvard, Oxford থেকে শুরু করে সমস্ত ভারিসিটিই এটাকে ইংরেজির দক্ষতা নির্দেশক হিসেবে গ্রহণ করে, শুধু তাই নয় অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা, UK সহ ইংলিশ স্পিকিং কান্ট্রি গুলোর সরকার মাইগ্রেশনের জন্যও এটাকে ইংরেজির দক্ষতা নির্দেশক হিসেবে গ্রহণ করে, সেখানে সত্যি সত্যিই যদি সেন্টার ভেদে IELTS প্রশ্ন সহজ-কঠিন বা মার্কস/স্কোর কম বেশি হওয়ার আদৌ কোন সুযোগ থাকত, তাহলে এসব নামকরা ভার্সিটিগুলা বা দেশের সরকার গুলা কিন্তু এ পরীক্ষাকে absolute স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহণ করত বলে আপনি মনে করেন ? British Council বিশ্বব্যাপী সেন্টারগুলোকে কঠোর ভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশের ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর বারবারা উইকহ্যাম, তিনি একজন ব্রিটিশ, এর আগে তিনি ইথিওপিয়া, নেপাল, চীন, পাকিস্তান, ভেনিজুয়েলা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর ছিলেন। উনার কাজই হচ্ছে বাংলাদেশের ব্রিটিশ কাউন্সিলের IELTS সেন্টার গুলিকে মনিটরিং করা। সিলেটে প্রশ্ন সহজ বা স্কোর বেশি উঠে যারা এই মিথে বিশ্বাস করে নিজেকে সাহস জোগাতে চান, তারা একটু লজিক্যালি ভেবে দেখুন আদৌ সম্ভব কিনা। আর মনে রাখবেন, ব্রিটিশ কাউন্সিলের IELTS এর প্রশ্ন বাংলাদেশে বসে কেউ করে না, এগুলা university of Cambridge এর Cambridge English Language Assessment এর একাডেমিশিয়ানরা করেন, তাই প্রশ্ন সহজ বা স্ট্যান্ডার্ড কম বেশি হওয়ার সুযোগ নাই।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের IELTS এর Examiner কারা, exam কিভাবে মার্কিং করা হয় সেসব নিয়ে আরেকদিন বিস্তারিত লিখব।
Myth#2
Reading এবং Listening পরীক্ষায় Answer সবসময় Capital Letter এ লিখতে হয়
এটা মনে হয় second পপুলার বাংলাদেশি মিথ। ধরা যাক, উত্তর হচ্ছে walking, এখন মিথে বিশ্বাসীরা সুন্দর করে গোটা গোটা ভাবে বড় অক্ষরে answer script এ WALKING লেখেন। আসলে বড় হাতের অক্ষরে লেখা বাধ্যতামূলক নয়, ছোট হাতের অক্ষরে Walking বা walking দুইভাবেই গ্রহনযোগ্য। বানান ভুল না হলেই হল, আপনি বড় হাতের লিখছেন নাকি ছোট হাতের সেটা কোন ম্যাটার না।
Myth#3
IELTS ব্রিটিশ organization দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষা, তাই ইংলিশের বানান ব্রিটিশ হওয়াই ভাল
অনেকে এটাই ভেবে খুব টেনশন করেন, যে IELTS পরীক্ষায় ব্রিটিশ বানান বা রীতিনীতি অনুসরণ করতে হয়। অনেকে আরো একধাপ এগিয়ে ভাবেন, পরীক্ষায় ব্রিটিশ আমেরিকান বানান মিক্স করলে নাম্বার কেটে দেবে, এইটা একটা মিথ। ব্রিটিশ আমেরিকান বানান মিক্স করে লিখলেও সমস্যা নেই। ধরা যাক, আপনার writing পরিক্ষায় এক জায়গায় color (আমেরিকান স্টাইল) লিখেছেন, আরেক জায়গায় colour (ব্রিটিশ স্টাইল) লিখেছেন। এটা zero problem, এর জন্য আপনার কোন পেনাল্টি নেই। কারন দুটাই গ্রহণীয়।
Myth#4
Writing Module এ নির্ধারিত ১৫০ এবং ২৫০ শব্দ লিখেছেন কিনা যাচাইয়ের বেলায় examiner, article word (a, an, the) এবং preposition (to, for, of, by etc.) এগুলা গননায় ধরে না
এটা আরেকটি পপুলার দেশি মিথ। article এবং preposition বাক্যে parts of speech হিসেবে কাজ করে এবং গননায় ধরা হয়। যেমন : “I put a book on the table” — এই বাক্যে 7 টি words আছে।
Myth#5
আমার ফ্রেন্ড ইংলিশে অনার্স মাস্টার্স, ও প্রিপারেশন ছাড়াই একটু পড়েই IELTS দিতে পারবে, এটেন্ড করলেই ও এমনিই ভালো স্কোর পাবে
ইংলিশে অনার্স মাস্টার্স থাকা মানে “ইংরেজি সাহিত্য়” এ ভালো হওয়া, not necessarily– “ইংরেজি ভাষা” প্রয়োগে ভালো হওয়া বোঝায় না। ভাষা এবং সাহিত্য সম্পুর্ন আলাদা বিষয়। IELTS ইংরেজি ভাষার পরীক্ষা। এটা ভাষার প্রয়োগের পরীক্ষা- মানে ইংরেজি বলা , লেখা, শুনে এবং পড়ে বুঝতে পারার পরীক্ষা। শেক্সপিয়ারের রচনাবলী, Wordsworth এর কবিতা পড়ে ভাষা প্রয়োগ শিখা যায় না, অগুলা সাহিত্য – বাস্তবিক প্রয়োগ নয়। শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ না পড়েও তো আমরা শুদ্ধভাবে বাংলার প্রয়োগ করছি– বলছি এবং লিখছি। IELTS পরীক্ষায় সাহিত্য় থেকে কোন প্রশ্ন থাকে না। বরং এমনও অনেক দেখেছি অনার্স মাস্টার্স করেও ইংরেজিতে কথা বলতে গেলে আটকিয়ে যায় কারণ ভাষার প্রয়োগ তো বই খাতায় কবিতা, নাটক এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটার স্থান হচ্ছে মুখে। আমাদের ভার্সিটি গুলায় ইংলিশে অনার্সের গতানুগতিক কারিকুলাম মূলত English Literature ভিত্তিক কারিকুলাম, ভাষা ভিত্তিক নয়, তাই ইংলিশে অনার্স মাস্টার্স থাকা মানেই IELTS এটেন্ড করলেই এ ভালো স্কোর আসবে এটা ভাবা ভুল হবে। আর IELTS এর রিডিং মডিউলে প্যাসেজ গুলা থেকে সঠিক উত্তর বের করতে হলে আপনার ভাষাগত দক্ষতা যেমন vocab ষ্টক enriched হওয়ার পাশাপাশি আপনার বিশ্লেষনী ক্ষমতাটাও ভাল হতে হবে, তাই এই ক্ষেত্রে ইংরেজি সাহিত্যিক জ্ঞান শুধু মাত্র কাউকে IELTS এ ভাল স্কোর এনে দেয় না। আর লিসেনিং মডিউলে তো ১০০% নেটিভ একসেন্টে কথা শুনে বুঝতে হবে, যেখানে সাহিত্যের জ্ঞান কাজেই দেয় না। আবার ইংলিশে অনার্স মাস্টার্স না করেও অহরহ IELTS এ ৮+ স্কোর পাচ্ছে অনেকেই কারণ ভাষার প্রয়োগের দক্ষতার সাথে ওই ভাষার সাহিত্য জ্ঞানের কোন সম্পর্ক নাই।
0 Comments
Leave a comment