আমাদের অন্যতম ১টা সমস্যা হচ্ছে আমরা সফল হতে চাই কিত্নু এর জন্য নিজেকে যতটুকু পেইন দেয়া দরকার সেটার জন্য কেউ তৈরী না ।
যখন চোখ-কান বন্ধ করে আমাদের ড্রিমটা চেজ করা দরকার তখন হয় সর্ট-কাট খুঁজি আর না হয় ব্যার্থ্যতার জন্য বারবার অজুহাত খুঁজতে থাকি ।
এর পরবর্তী রেসাল্ট হচ্ছে ফ্রাস্ট্রেশন বিশেষ করে যখন দেখি আমাদের সহপাঠীরা ১টা ভালো জায়গায় পৌঁছে গেছেন বাট আমরা একই জায়গায় পড়ে আছি ।
ইনবক্সে ১টা ছেলে বেশ কয়েক দিন ধরেই নক করছিল । ক্যারিয়ার রিলেটেড কিছু ব্যাপারে ডিসকাস করতে চাচ্ছিল ।
আমি তাকে কোয়েরিগুলো জানাতে বললাম । সে বিশাল এক দুঃখের ইতিহাস লিখে বসল ।
সে এখন লাস্ট ইয়ারে আছে এবং জানাল তার চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা স্যালারির ১টা চাকরি দরকার এর জন্য সে এখন কি ফারদার কোর্স বা হায়ার স্টাডি করবে ।
তাকে প্রথমে আইবিএর জন্য প্রিপারেশন নেয়ার সাজেশন দিলাম, সে জানাল এটা তাকে দিয়ে হবে না অনেক কঠিন । এর পর আরো কিছু দিকে অপারচুনিটি এক্সপ্লোর করতে বললাম, সবগুলোতে সে খুঁত বের করতে লাগলো ।
অমুক কারন তমুক কারনে তার পক্ষে এসব করা সম্ভব না ।
এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে অফলাইনে চলে গেলাম, যাওয়ার আগে লিখে দিলাম ভাই হা করে বসে থাকেন, দেখবেন আল্লাহ তাআলা উপর থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার ১টা করে বাণ্ডিল আপনার বাসায় ফেলে দিচ্ছেন ।
কমফোর্ট জোন খুব আরামের জায়গা বাট এখানে আসলে কোন ফসল ফলে না ।
যারা বিভিন্ন কমপিটিটিভ এক্সামগুলোতে বারবার ব্যার্থ হচ্ছেন তাদের সেলফ এভালিউশন খুব জরুরী । অবশ্যই এখনও কোন না কোন কমফোর্ট জোন থেকে আপনারা বের হতে পারেননি ।
যেমন আইবিএ প্রিপারেশনের বেলাতেই বলি, আইবিএতে আনলিমিটেড টাইমস এক্সাম দেয়া যায় সো অনেকেই নিজেদেরকে এ ব্যাপারে ছাড় দিয়ে রাখেন । ভাবেন, এবার না হোক সামনেরবার দিব ।
এ লাক্সারির কারনে যতটুক এফোর্ট দেয়া দরকার ততটুকু দেন না । এটা চিন্তা করেননা যে একবার জাস্ট চোখ-কান-নাক বন্ধ করে একটা ভালো এফোর্ট দিলে পরেরবার এ বিরক্তিকর পড়া আর দরকার হবে না !
সো টাইম থাকতে থাকতে নিজেকে সামলে নেন । না হয় পরেরবার আবারো বলা লাগবে ইশশশশশশশশ……..একটুর জন্য…………..
0 Comments
Leave a comment