সফল হবার উপায় নিয়ে অনেক কথা, অনেক আর্টিকেল লেখা হয়েছে । আসলে সফলতার কোন নির্দিষ্ট সূত্র নেই । অনেকে বলেন সফলতা হল এটিচিউড বা আপনি লাইফকে কিভাবে নিচ্ছেন সেটি ।
আমার এক ঘনিস্ট আত্নীয় যিনি আজ দেশে খুব সুপরিচিত একজন এন্ট্রাপ্রেনিউর । উনার আইটি ফার্ম দেশের শীর্ষস্থানীয়দের একটি । উনার সাথে একদিন উনার সাকসেস ও ফেলিউর স্টরি নিয়ে কথা হচ্ছিল ।
উনি শুরু করেছিলেন বাসার ড্রয়িং রুম থেকে ১টা পিসি দিয়ে । আজ উনার কোম্পানিতে ২৫০ এর উপর লোক কাজ করে । উনি মান্থলি স্যালারি দেন কোটি টাকার উপর । বাট এ অবস্থা একদিনে হয়নি । উনি শুরু করেছিলেন ১৬-১৭ বছর আগে বাট ব্রেক থ্রু পেয়েছেন মাত্র ৭-৮ বছর হল !
তার মানে প্রায় দশ বছর উনি স্ট্রাগল করেছেন । বেশ কয়েকবার উনার কোম্পানি নিলামে উঠার মত অবস্থায় চলে এসেছিল । বাট স্টিল হি ম্যানেজড টু সারভাইভ ! কিভাবে ?
উনার মতে যে কাজটি তুমি ভালো পারো সেটিতে তোমাকে বেস্ট হতে হবে । আই মিন নিজ নিজ স্ট্রেংথকে একবারে আন-প্যারালাল অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে ।
এমন ব্যবস্থা করতে হবে যেন তোমার ইন্ডাস্ট্রিতে সে কাজটি তোমার চেয়ে ভালো আর কেউ না পারে । ব্যাস এই মন্ত্র ফলো করে উনি যাবতীয় ঝড়-ঝাঁপটা থেকে বেঁচে আজ এ অবস্থায় এসেছেন ।
আমিও নিজেও এ ব্যাপারটি মেইন্টেইন করার চেষ্টা করি । যখন কোন ১তা টার্গেট নেই তখন আগে নিজের স্ট্রেংথ আর উইকনেসের উপর ভালোভাবে কাজ করি এবং স্ট্রেংথকে আরো হারনেস করি ।
যারা বিভিন্ন কম্পিটিটিভ এক্সামের প্রিপারেশন নিচ্ছেন তারা এই মন্ত্র ফলো করতে পারেন । ধরেন, আপনি ম্যাথে ভালো, চেস্টা করেন ম্যাথে সর্বোচ্চ স্কোর করতে ।
ইংলিশে একটু কম ভালো, সো চেষ্টা করেন ইংলিশে জাস্ট কোনমতে পাশ মার্ক বা চার চেয়ে একটু বেশী তুলতে । সবকিছুতেই যে আপনাকে ভালো হতে হবে এমন কোন কথা নেই ।
আইবিএর একজন এক্স-ডিরেক্টর স্যার আমাদের মার্কেটিং কোর্স নেয়ার সময় বলেছিলেন, সবারই কিছু শক্তি ও দুর্বলতা আছে । এর মধ্যে কিছু দুর্বলতাকে অভারকাম করা যায় আর কিছু দুর্বলতাকে ছেড়ে দিতে হয় ।
কারণ সব দুর্বলতা কাটাতে গেলে সারা জীবন চলে যাবে । সো উইকনেস কাঁটাতে গিয়ে স্ট্রেংথকে স্যাক্রিফাইস করা সিরিয়াস রকমের স্ট্র্যাটেজিক ব্লান্ডার । ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন ।
হ্যাপি প্রিপেয়ারিং !
0 Comments
Leave a comment