জব প্রিপারেশনের প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রেফারড জব সেক্টরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া । প্রাইভেট, নাকি পাবলিক এ ব্যাপারে আগে শিউর হোন ।
এরপর আপনার প্রেফারড সেক্টরের আগের বছরের প্রশ্ন ব্যাংক সংগ্রহ করুন । এরপর রিসেন্ট বছরের প্রশ্ন থেকে কমপক্ষে তিনটি এক্সাম দিন ।
এতে করে আপনার স্ট্রেংথ এবং উইকনেস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্ ।
আশার কথা হচ্ছে এই ধরনের এক্সামগুলো মিউচুয়ালী এক্সক্লুসিভ না । অর্থাৎ, ১টার প্রস্তুতি নিলে আরেকটি ছাড়তে হবে না ।
এবার আপনার স্ট্রেংথ এবং উইকনেস অনুযায়ী আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১টি বাস্তব সন্মত টাইমলাইন সেট করুন । আই মিন কবের মধ্যে আপনি ভালো মত পরীক্ষায় বসবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন ।
তবে হ্যাঁ এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই জাস্ট নিজেকে পরখ করে দেখার জন্য কমপক্ষে ২-৩ বার বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতে বসুন ।
ম্যাথ বা ইংলিশ বা এনালাইটিক্যাল এবিলিটি দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করুন । কারণ প্রায় সব ধরনের জব এক্সামে ম্যাথ, ইংলিশ বা এনালিটিক্যাল এবিলিটি থেকে প্রশ্ন থাকে ।
যে কোন ১টি ভালোভাবে শেষ করার পর আরেকটি ধরুন । এই তিনটি পার্টে ভালোভাবে শেষ করার পর অন্য কিছু দেখুন ।
বাংলা বা সাধারণ জ্ঞান একাডেমিক পড়ার মত না পড়ে গল্পের বইয়ের মত উপভোগ করে করে পড়ুন । সাধারণ জ্ঞান পার্টের কথাই যদি ধরি, শুরুতেই কারেন্ট এফেয়ার্স না পড়ে নিয়মিত পেপার পড়ুন বা নিউজ দেখুন ।
ভুলে যান যে, কোন এক্সামের প্রস্তুতি নিচ্ছেন । জাস্ট এটা মাথায় রাখুন যে, আপনি জানার জন্য পড়ছেন, শেখার জন্য পড়ছেন ।
সিমিলারলী বাংলা পড়ুন মজা নিয়ে । শেখার আগ্রহ নিয়ে । এতে করে প্রিপারেশন বোরিং হবে না ।
প্রিপারেশনের সময় যে ব্যাপারগুলো মাথায় রাখবেন
১। মনে রাখবেন, যতক্ষণ কম্ফোর্ট জোনে থাকবেন ততক্ষণ প্রস্তুতি প্রোপার হচ্ছে না । যেমনঃ ম্যাথ করতে গিয়ে যতক্ষণ না আটকাচ্ছেন ততক্ষণ আসলে আপনার প্রস্তুতি শুরুই হোল না ।
২। শুরুতেই নিজের উপর অযথা প্রেশার দিবেন না । ছোট ছোট ব্রেক নিয়ে পড়ুন । টানা অনেকক্ষণ ধরে পড়ার দরকার নেই ।
৩। অন্যের সাথে কম্পেয়ার করবেন না । আপনি কারো থেকে কোন টপিকে দুর্বল হতেই পারেন এটা মেনে নিন ।
৪। কোয়ানটিটির চেয়ে কোয়ালিটি ম্যাটার করে । আপনি কয়টা বই পড়ছেন এটার চেয়ে কতটুকু সিনসিয়ারলী পড়ছেন বা বুঝে বুঝে পড়ছেন এটা ম্যাটার করে ।
৫। স্টাডি গ্যাপ নিবেন না । বিরক্ত লাগলে ঘণ্টা খানেকের জন্য কোথাও থেকে ঘুরে আসুন বা আড্ডা মেরে আসুন বাট ৩-৪ দিনের ব্রেক আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে ।
আজ এতটুকুই । সামনে আরো দরকারি টিপস শেয়ার করা হবে ইনশাআল্লাহ্ !
0 Comments
Leave a comment