যারা Bank-এ ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী তাদের জন্য BIBM খুব আকর্ষণীয় জায়গা । BIBM এর MBM অ্যাডমিসনে আমাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল গত বছরও। চান্স পেলেও, ভর্তির জন্য নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট আমার হাতে না আসায় ভর্তি হতে পারিনি। আর তাই এই বছর আবার পরীক্ষা দিলাম। উপরওয়ালার ইচ্ছায় এবার চান্স পেয়েছি এবং ভর্তিও হয়েছি আমার মনে হয়, আমার এই দুই বারের পরীক্ষা দেয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে ভবিষ্যতে BIBM অ্যাডমিসন দিতে চান তাদের কিছুটা উপকার হতেও পারে।
২০১৬ ও ২০১৫ ইনটেকের প্রশ্নের একটা তুলনামূলক বিবরন তুলে ধরছিঃ
১। BIBM-এ ইংরেজি প্রশ্নটা প্রতি বছরই সম্ভবত একইরকম হয়। ভোকাবুলারি পড়তে হবে একটু বেশি। গ্রামার থেকে প্রশ্ন আসবে। বেশ কনফিউজিং প্রশ্নও আসে মাঝে মাঝে।
২। ম্যাথের প্রশ্ন গতবছর বেশ সহজ ছিল। কিন্তু, এই বছর কিন্তু ম্যাথ প্রশ্ন অতটা সহজ হয়নি। বিভ্রান্ত করার মত অনেক ম্যাথই ছিল পরীক্ষায়।
৩। BIBM-এ অ্যানালিটিক্যাল পরীক্ষার প্রশ্ন গত বছর গতানুগতিক ধারার হলেও এই বছর আমার কাছে অনেক বেশি কঠিন মনে হয়েছে। এমন কিছু অ্যানালিটিক্যাল প্রশ্ন হয়েছে যে ধরনের প্রশ্ন সাধারনত অন্যান্য পরীক্ষায় আসে না!
৪। সাধারন জ্ঞানটা মোটামোটি সহজ হয় বলেই জানতাম। কিন্তু, এবছর একটু কঠিন হয়েছে। খুব কঠিন নয়, তবে গতবছরের তুলনায় কঠিন বলা যায়।
৫। আর রাইটিং সেকসন বরাবরই বেশ কঠিন হয়। ৫০ মার্ক্সের এই পার্ট সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন পার্ট পরীক্ষায় এবং এখানে আলাদাভাবে পাশ করতে হয়। প্রতিবছরের মত এই বছরও রাইটিং পার্ট কিছুটা কঠিন ছিল।
৬। ভাইভা, যেটা রিটেনে কোয়ালিফাই করলে তবেই ফেস করা সম্ভব, সেখানেও বৈচিত্র ছিল। গত বছর আমাকে করা হয়েছে সবই নন-অ্যাকাডেমিক প্রশ্ন আর এই বছর আমাকে সবই অ্যাকাডেমিক প্রশ্ন করা হয়েছে। কাজেই এখানেও কোন নির্দিষ্ট প্যাটার্ন নেই।
সব মিলিয়ে এটাই বলতে পারি যে, এ ধরণের Bank-অ্যাডমিসন প্রশ্নে আপনার জন্য অবশ্যই কোন না কোন সারপ্রাইজ অপেক্ষা করবে। আগে থেকে ভেবে বসে থাকলে চলবে না প্রশ্ন এরকমই হবে আর উত্তরও আমি এভাবেই দেব! আগে থেকে করা গেম প্ল্যান খুব বেশি কাজে আসবে না। পরীক্ষার হলে কিছু ছোট্ট সিদ্ধান্ত খুব গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠবে। কিছু উদাহরন দিচ্ছিঃ
১। একটা প্রশ্ন নিয়ে বেশিক্ষন পরে থাকা যাবে না। যদি দেখেন যে কোন একটা অংকের আপনি কোন কূল কিনারাই করতে পারছেন না, তাহলে বাদ দিন। আপনি অংকে ভাল মানে এই না যে সব অংক আপনাকে পারতেই হবে!
২। প্রশ্ন দেখেই আইডিয়া করার চেষ্টা করুন সেটা সল্ভ করতে কত সময় লাগবে। কিছু অংক দেখলেই বোঝা যায় যে অনেক সময় নেবে। বেটার, ওগুলো মার্ক করে রাখুন। সব অংক শেষ করে তারপর ঐটা করুন। তবে, যদি ঐ অংক নিয়ে গবেষনা শুরু করেই ফেলেন, তাহলে আর ফেলে রাখার দরকার নেই। কারন কিছুক্ষন সময় নষ্টের পরে আবার ঐ অংক নিয়ে বসলে দ্বিগুন সময় নষ্ট হবে। হয়তো আপনি আর পরে ঐ অংক করার সময়ও পাবেন না!
৩। ইংরেজির প্রশ্নগুলো একটু দ্রুত অ্যান্সার করার চেষ্টা করুন। আপনার যদি যথেষ্ট রিডিং হ্যাবিট থাকে তাহলে দেখবেন প্রথমবারে যেটাকে সঠিক উত্তর ভাবছেন সেটাই আসলে সঠিক উত্তর। বেশি অ্যানালাইসিস করতে গেলে আবার ভুল হতে পারে! ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে ৯০ মিনিটে, এটা ভুলে গেলে চলবে না !!
৪। খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় বলছি। মার্কস ডিস্ট্রিবিউশনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন কোন প্রশ্নের মার্ক 0.5 (যেমন এবার সাধারন জ্ঞানে ছিল) আবার কোন প্রশ্নের মার্ক্স 2 (যেমন ক্রিটিক্যাল রিজনিং এ ছিল)। কাজেই কোন প্রশ্নের জন্য আপনি কতটা সময় দেবেন সেটা কিন্তু এই মার্ক্সের উপরেও নির্ভর করে!
৫। রাইটিং এর জন্য বিস্তারিত অনেক কিছু বলা দরকার। এই পোস্টে আর এত কিছু আনতে চাচ্ছি না। শুধু এটাই বলব, আপনাকে আগে টপিকটা বুঝতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা লিখলে মার্ক আসবে না। ফোকাসড থাকতে হবে। এবং অবশ্যই গ্রামার এবং স্পেলিং এ ব্যপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে। রিটেনের মার্ক্স বেশিরভাগই এগুলোর উপরে নির্ভর করে। আপনার টার্গেট যদি হয় Bank-এ ক্যারিয়ার গড়া তাহলে আপনাকে রাইটিং অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে হবে ।
আজ এ পর্যন্তই। ভাল থাকুন সবাই। শুভ কামনা সবার জন্য।
2 Comments
Arifur Rahman Arif May 05, 2016
helpful post …
thanks dada..
sharing ur valuable experience…
Lutfur Rahman Limon May 05, 2016
thx bro for ur kind information
Leave a comment